রমযান মাসের করণীয় ও বর্জনীয় আমলসমূহ

আল মুহাজির শাইখ "ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ"-এর মুজাহিদ ভাইদের নিকট অত্যন্ত বিনয়ের সহিত বলতে চাই, "হেফাযতে ইসলাম"-এর কোন বিষয় যদি আপনাদের নিকট অবোধগম্য http://sphotos-f.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-prn1/545969_400993560008614_1797467106_n.jpg থেকে যায় তাহলে মেহেরবানী করে "হেফাযতে ইসলাম"এর মাশায়েখদের সাথে কথা বললে ভালো হয়। কেননা, আপনারা খুব ভালো করেই জানেন যে, আল্লামা শাহ আহমাদ শফী হাফিযাহুল্লাহ সহ "হেফাযতে ইসলামী"র কোন নেতা ফেসবুক চর্চা করেন না। ফলে ফেসবুকে আপনাদের হাঁসফাঁসগুলো কেবল গীবতেরই অন্তর্ভুক্ত এবং মুসলিম ঐক্যের চরম পরিপন্থী। সবচে' বড় বিপদ সংকেত হলো, আল্লাহ তা'আলার মেহেরবানীতে আজকের লংমার্চ পরিপূর্ণ সফল হয়েছে এবং এতে বাতিলের ভীতে কম্পন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই বিজয় থেকে মুসলিমদেরকে আবারো বিচ্যুত করতে শয়তান মরণ-কামড় স্বরূপ কিছু একটা করতে চেষ্টা করছে। "ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ" এর মুজাহিদ ভাইসহ সকলকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। ( ইসলামের শ্ত্রুরা যেন কোন সুজোগ না নিতে পারে, অন্দোলন শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য )

http://gclea.org/wp-content/uploads/2013/05/Ramadan-2013-Banner.png

ক। করণীয় আমলসমূহ:

১. পুরো রমযান মাস সিয়াম বা রোযা পালন করা।
২. সময়মত সালাত বা নামাজ আদায় করা।
৩. সময়মত সাহরী খাওয়া।
৪. তারাবীহ নামাজ আদায় করা।
৫. মহান আল্লাহ্ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করা।
৬. বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা।
৭. কল্যাণমূলক কাজ বেশি বেশি করা।
৮. শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া।
৯. উত্তম চরিত্র গঠনের অনুশীলন করা।
১০. সহীহভাবে কুরআন শিখা।
১১. অপরকে (কুরআন না জানা) কুরআন শিখানো।
১২. রমজানের শেষ দশকে ইতিক্বাফ করা।
১৩. সামর্থ্য থাকলে ওমরা পালন করা।
১৪. শবে ক্বদর তালাশ করা।
১৫. বেশি বেশি দোয়া এবং কান্নাকাটি করা।
১৬. সময়মত ইফতার করা এবং অপরকে ইফতার করানো।
১৭. তাওবা করা।
১৮. দাওয়াতে দ্বীনের কাজ করা।
১৯. তাকওয়া অর্জন করা।
২০. ফিতরা দেয়া।

আল মুহাজির শাইখ "ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ"-এর মুজাহিদ ভাইদের নিকট অত্যন্ত বিনয়ের সহিত বলতে চাই, "হেফাযতে ইসলাম"-এর কোন বিষয় যদি আপনাদের নিকট অবোধগম্য http://sphotos-f.ak.fbcdn.net/hphotos-ak-prn1/545969_400993560008614_1797467106_n.jpg থেকে যায় তাহলে মেহেরবানী করে "হেফাযতে ইসলাম"এর মাশায়েখদের সাথে কথা বললে ভালো হয়। কেননা, আপনারা খুব ভালো করেই জানেন যে, আল্লামা শাহ আহমাদ শফী হাফিযাহুল্লাহ সহ "হেফাযতে ইসলামী"র কোন নেতা ফেসবুক চর্চা করেন না। ফলে ফেসবুকে আপনাদের হাঁসফাঁসগুলো কেবল গীবতেরই অন্তর্ভুক্ত এবং মুসলিম ঐক্যের চরম পরিপন্থী। সবচে' বড় বিপদ সংকেত হলো, আল্লাহ তা'আলার মেহেরবানীতে আজকের লংমার্চ পরিপূর্ণ সফল হয়েছে এবং এতে বাতিলের ভীতে কম্পন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই বিজয় থেকে মুসলিমদেরকে আবারো বিচ্যুত করতে শয়তান মরণ-কামড় স্বরূপ কিছু একটা করতে চেষ্টা করছে। "ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ" এর মুজাহিদ ভাইসহ সকলকে অত্যন্ত সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি। ( ইসলামের শ্ত্রুরা যেন কোন সুজোগ না নিতে পারে, অন্দোলন শুধু মাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য )

ক। বর্জনীয় আমলসমূহ:

১. বিলম্বে ইফতার করা।
২. সাহরী না খাওয়া।
৩. মিথ্যা বলা এবং অন্যান্য পাপ কাজ করা।
৪. অপচয় ও অপব্যয় করা।
৫. শেষের দশ দিন কেনা-কাটায় ব্যস্ত থাকা।
৬. সুন্নাহ ত্যাগ করা।
৭. তিলাওয়াতের হক আদায় না করে কুরআন খতম করা।
৮. তারাবীহ নামাজ আদায়ে অলসতা করা।
৯. জামায়াতের সাথে ফরজ নামাজ আদায়ে অলসতা করা।
১০. বেশি বেশি খাওয়া।
১১. লোক দেখানো ইবাদত বন্দেগী করা।
১২. বেশি বেশি ঘুমানো।
১৩. অশ্লীল সিনেমা, নাটক এবং ছবি দেখা।
১৪. বেহুদা কাজে রাত জাগা।
১৫. বিদয়াত করা।
১৬. দুনিয়াবী ব্যস্ততায় মগ্ন থাকা।

এই পেজের সকল এডমিনদের পক্ষ থেকে পেজ ফ্যানসহ দুনিয়ার সকল মুসলমানদের রমজান মাসের শুভেচ্ছা, ইনশাআল্লাহ্ আমরা সবাই উপরোক্ত আমলগুলো পালন করে আমাদের জীবনে এই রমজান মাসকে সার্থক করে তুলবো।

http://quraninstitute.net/wp-content/uploads/2010/04/Ramadan_banner.jpg

Related posts